, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ইতিহাস

  • আপলোড সময় : ১৭-০৭-২০২৩ ০৯:০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৭-২০২৩ ০৯:০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ইতিহাস
এবার আফগানদের বিপক্ষে নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু ওয়ানডের ব্যর্থতা ভুলে সবচেয়ে দুর্বোধ্য ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ের হাতছানি সাকিবের দলের সামনে। দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। সিরিজ জিততে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামে টাইগাররা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত ১৭ ওভারে ১১৬ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। তবে বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশ জয়ের জন্য পেয়েছে ১১৯ রানের লক্ষ্য। জবাবে ব্যাট করতে নেমে লিটন-আফিফের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ছয় উইকেটের জয় পায় সাকিবের দল। 

আফগানদের দেওয়া মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে টাইগারদের হয়ে ওপেনিংয়ে আসে লিটন কুমার দাস ও আফিফ হোসেন। রান তাড়ায় নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন লিটন-আফিফ। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্নক ব্যাটিং করছেন লিটন দাস। কোনো উইকেট না হারিয়ে ইতোমধ্যেই স্কোরবোর্ডে ৫০ পেরিয়ে ছুঁটছে। তবে দলীয় ৬৭ রানে মুজিবের বলে লিটন সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরপর এক রানের ব্যবধানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আরেক ওপেনার আফিফ হোসেন। এরপর উইকেটে এসে বেশিক্ষণ স্থীর হতে পারেননি নাজমুল হাসান শান্তও। ব্যাক্তিগত ৪ রানে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ফলে দ্রুত তিন উইকেটে হারিয়ে চাপের মুখে টাইগাররা।

চতুর্থ উইকেটে সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামলে রানের চাকা সচল রাখেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত ৫ বলে হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় টাইগাররা। এর আগে টসে হেরে আফগানদের হয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে আসেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও হজরতউল্লাহ জাজাই। স্ট্রাইকে ব্যাট করতে নামা গুরবাজ তাসকিনের প্রথম চার বলের ভিতর একটি ওভার বাউন্ডারি মেরে জানান দিচ্ছিলেন ভালো খেলার। তবে একেই ওভারের পঞ্চম বলে তাসকিনের করা অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট লেংথের করা ডেলিভারি বল পুল খেলার চেষ্টা করেন গুরবাজ। কিন্তু টাইমিং হয়নি।

বল উঠে যায় আকাশে। আর নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন পেসসার তাসকিন আহমেদ। ফলে ৮ রানে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার।  শুরুতেই উকেট হারিয়ে ফেলা আফগানরা গুছিয়ে উঠার চেষ্টা করে দ্বিতীয় উইকেটে। কিন্তু উইকেটে বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না এই জুটিও। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে করতে আসা তাসকিন তুলে নেন আফগান আরেক ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাইকে। তাসকিনের করা গুড লেংথের ডেলিভারিতে ছিল বাড়তি বাউন্স। স্লিপ কর্ডনের পাশ দিয়ে আলতো করে খেলার চেষ্টায় ব্যর্থ হন জাজাই। বাইরের কানা ছুঁয়ে বল জমা পড়ে লিটন দাসের গ্লাভসে।

ফলে আফগানিস্তানের ওপেনারদের টিকতে দিলেন না তাসকিন আহমেদ। পরপর দুই ওভারে তিনি আউট করলেন দুজনকে। রহমানউল্লাহ গুরবাজের পর ড্রেসিংরুমের পথ ধরলেন জাজাইও। এক চারে ৫ বলে ৪ রান করেন জাজাই।   এরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। প্রায় দেড় ঘন্টা পর খেলা শুরু হলে মোহাম্মদ নবীকে ফেরান মুস্তাফিজ। আর জাদরান ও নাজিবকে ফেরান সাকিব। বৃষ্টির পর খেলা মাঠে গড়ালে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয় পরে সফরকারীরা। তবে ষষ্ট উইকেটে আজমাতুল্লাহ ওমরজাই ও করিম জানাতের জুটিতে ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামাল দেন।

কিন্তু দলীয় ১০৯ রানে ওমরজাই সাজঘরে ফেরলে ভাঙে ৪২ রানের এই জুটি। ২১ বলে ২ চার ও এক ছয়ে করেন ২৫ রান। এরপর দ্রুত ফেরেন জানাতও। ১৫ বলে করেন ২০ রান। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আইনে নির্ধারিত ১৭ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান সংগ্রহ করে রশিদ খানের দল। বল হাতের বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া দুইটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। 
দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস

দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস